মাস দুয়েক
আগে ডাক্তারের কাছে এক যুবতী বোন
এসেছিলেন মহিলা দেখতে বেশ সুন্দরী,
পড়নে আধুনিক পোশাক রান্না করার সময়
চুলা
থেকে গরম পানি উপচে তার হাতে
লেগেছিল
সেই যন্ত্রনায় তিনি কাতরাচ্ছিলেন
তাকে
প্রেসক্রিপশন লিখে দেয়ার সময়
ডাক্তার বল্লেন--
-- পুড়ে যাওয়া স্থানে কি খুব বেশী
যন্ত্রণা
হচ্ছে? : জী... একদম জান বের হয়ে
যাচ্ছে...
-- একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন... কিছু মনে
করবেন না :
জী বলেন -- আপনি কি নামাজ পড়েন
নিয়মিত? : না...
মানে পড়ি... কিন্তু নিয়মিত না.. -- আর
পর্দা করা যে
আপনার জন্য ফরয তা কি জানেন? :
(থতমত খেয়ে)
ইয়ে মানে জানি... কিন্তু করা হয়ে উঠে
না.... --
সামান্য গরম পানিতে আপনার হাতের
অল্প একটু জায়গা
পুড়ে যাবার কষ্টে আপনি ছটফট করছেন
পর্দা করা
ও নামায না পড়ার জন্য আপনি যে
অনন্তকাল
জাহান্নামে পুড়বেন, সেই কথা কি
ভেবেছেন
কখনো? ডাক্তারের কথা শুনে মহিলা
একদম
অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন কিছু না বলে শুধু মুখ
নিচু
করে রেখেছিলেন, চলে যাবার সময় শুধু
সালাম
দিয়ে বের হয়ে গেলেন, ঘটনার পর দুই
মাস
কেটে গেছে, একদিন রাতে তিনি তার
জ্বরে
আক্রান্ত বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন
প্রথমে
ডাক্তার তাকে চিনতে পারিনি কারণ
তিনি হিজাব পরে
এসেছেন ডাক্তারকে দেখে সালাম
দিয়ে
বললেন-- স্যার আমাকে চিনেছেন? :
সরি... ঠিক
চিনতে পারছি না -- দুই মাস আগে
আপনার কাছে
পোড়া হাত নিয়ে এসেছিলাম : হ্যাঁ,
হ্যাঁ... মনে
পড়েছে -- আপনার কথা শুনে আমি সারা
রাত ভেবছি
রাতেই সিদ্ধান্ত নেই, যেন আমি এখন
থেকে
পর্দা করবো আর এখন আমি নিয়মিত
নামাজ পড়ি পর্দা
করার পর থেকে আমি মনে অনেক
প্রশান্তি পাচ্ছি।আল্লাহ আমাদের
আমোল করার তাওফিক দেন।আমিন।
